ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যে এখানে একত্রিত হয়েছেন, এটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি বাংলাদেশের প্রতি আপনাদের রাজনৈতিক সমর্থন, অর্থনৈতিক সহায়তা, নৈতিক সমর্থন এবং অন্যান্য সহায়তার প্রতিফলন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাত্র চার মাস আগে আমরা এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাই। তখন বহু শিক্ষার্থী নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয়েছিল। এ ঘটনা পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এর মাধ্যমে আগের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো সম্ভব হয়। পরে সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশ থেকে পালিয়ে যান।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, যারা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গত ১৬ বছরের দমন-পীড়নের পর মানু আবেগের প্রকাশ স্পষ্ট। জোরপূর্বক গুমের করুণ কাহিনিগুলো একের পর এক সামনে এসেছে। পুরো অর্থনীতিকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা প্রায় ধসে পড়ার পথে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রায় অকার্যকর অবস্থায় ছিল। আমরা একটি ‘শ্বেতপত্র কমিটি’ গঠন করেছি। আগের সরকারের কাছ থেকে আমরা কী অবস্থায় দায়িত্ব নিয়েছি, তা কমিটি নথিভুক্ত করেছে। অর্থনীতি, বিভিন্ন বাধ্যবাধকতা—সবকিছু এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রতিবেদনটির একটি কপি আপনারা পেয়েছেন। এর তথ্যগুলো দেখলে বোঝা যায়, সেই সময় পরিস্থিতি কেমন ছিল। প্রতি বছর দেশ থেকে প্রায় এক বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে।