যুক্তরাজ্যের আওয়ামী লীগ আগামী ৮ ডিসেম্বর একটি বড় সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেন মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, এই সমাবেশে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল উপস্থিতি কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে তিনি মন্তব্য করেন, “ভারত সরকার কীভাবে এই সুযোগ তৈরি করেছে তা তারাই ভালো জানে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি ভার্চুয়ালি এই রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। তবে এটি কীভাবে সংগঠিত হচ্ছে বা ভারতে অবস্থান করেও যুক্তরাজ্যে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য করা ঠিক নয়।
ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা এবং নতুন প্রশাসন এলে কোনো পরিবর্তন হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এটি বাণিজ্যিক, কৌশলগত এবং রাজনৈতিক দিক থেকে বহুমাত্রিক। ক্ষমতায় যে দলই আসুক না কেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল বিষয়গুলো অপরিবর্তিত থাকে। তিনি বলেন, "আমরা আগের ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছি এবং নতুন প্রশাসনের সঙ্গেও একইভাবে কাজ করার প্রত্যাশা রাখি।"
আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে বর্তমানে কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে সেবা পুনরায় চালু করা হবে।
যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের সমাবেশ এবং শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল অংশগ্রহণ নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কনস্যুলার সেবা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে।