বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

১০ বছর ধরে নিখোঁজ ইলিয়াস আলী, পরিবার এখনও অপেক্ষায়

আজ ১৭ এপ্রিল। ১০ বছর আগে ২০১২ সালের ঠিক এই দিনে তৎকালীন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হন। এদিনে রাতে রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে তিনি আর বাসায় ফিরে যাননি। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

বিএনপির অভিযোগ, একটি তরতাজা প্রাণ এভাবে হারিয়ে গেল। মানুষ মারা গেলে, অনেক সময় তার লাশ নিয়ে সান্ত্বনা পায় পরিবার কিন্তু ইলিয়াস আলীর পরিবার একেবারে নিঃস্ব, এ এক মর্মান্তিক ঘটনা। তার পরিবার এটা মেনে নিতে পারে না।

ইলিয়াস আলীর পরিবারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার সন্তানরা জানে না যে তাদের বাবা বেঁচে আছে না মরে গেছে। তারা বাবার ছবি বারবার নেড়েচেড়ে দেখে। এদিকে তার স্ত্রী লুনা স্বামীকে কাছে পাওয়ার সুযোগ চিরতরে হারিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তেমনি মা সূর্যবান বিবি জানেন না ইলিয়াসের মুখে মা ডাক আর শুনবেন কি না। সন্তানের ফিরে আসার অপেক্ষায় আজও পথ চেয়ে বসে থাকেন মা সূর্যবান বিবি।

বরাবর ইলিয়াস আলীকে বর্তমান সরকার ‘গুম’ করেছে বলে অভিযোগ করে আসছে বিএনপি। ইলিয়াস আলীর সঙ্গে তার গাড়িচালক আনসার আলীরও খোঁজ মেলেনি আজও। ওইদিন মধ্যরাতে মহাখালী এলাকা থেকে ইলিয়াস আলীর ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধার হলেও সন্ধান মেলেনি তাদের দুজনের। নিখোঁজ ইলিয়াস আলীকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে দেশব্যাপী শুরু হয় আন্দোলন। এজন্য টানা কর্মসূচি পালন করেছিল কেন্দ্রীয় বিএনপি। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি বরং সিলেটে এ আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ হারায় বিশ্বনাথ উপজেলার ৩ জন।

ইলিয়াস আলীর বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বলছে, যেহেতু ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেবার বিষয় নিয়ে আন্দোলন হলে সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে, এতে বুঝা যায় সরকার ইলিয়াস আলীকে 'গুম' করেছে।

ইলিয়াস আলী নিখোঁজের বিষয়ে আদলতের ব্যাখ্যা নিয়ে যা বলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী

স্বামীকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছুটে গিয়েছিলেন ইলিয়াস পত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা। হাইকোর্টে করেছিলেন রিট আবেদন। তার রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ১০ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করে বলেছিলেন, ইলিয়াস আলীকে অবৈধভাবে আটক করা হয়নি এ মর্মে সন্তুষ্ট হওয়ার জন্য কেন তাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হবে না।

২০১২ সালের ১৯ এপ্রিল রুল জারির পর মে মাসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাঁচটি সংস্থা হাইকোর্টে পৃথক পৃথক প্রতিবেদন জমা দেয়। তখন এটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছিল, সংস্থাগুলো নিজ নিজ প্রতিবেদনে দাবি করেছে, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী তাদের হাতে আটক নেই।

 রহস্যঘেরাই থেকে গেল ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ঘটনা

নিখোঁজের ১০ বছর পরও ইলিয়াস আলীর কোনো সন্ধান দিতে পারেনি সরকার। রহস্যই থেকে গেছে ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ ঘটনা। আবেদনকারী বা রিট আবেদনের শুনানির বিষয়ে কোনো উদ্যোগ আজও পরিলক্ষিত হয়নি।

এ বিষয়ে ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেছেন, স্বামী ফেরার অপেক্ষায় ১০টি বছর পার করে দিলাম আরও অপেক্ষায় থাকব, আল্লাহ যেন তাকে জীবিত রাখে সেই দোয়া করি।

লুনা বলেন, ‘আমার স্বামী নিখোঁজের ১০ বছর চলে গেল, আমরা আজও অন্ধকারেই রয়ে গেলাম। শেষ অবধি আমি তার অপেক্ষা করব। দুনিয়ার আদালতে বিচার পাইনি, আল্লাহর আদালতেই বিচার দিলাম। যতক্ষণ চোখ আছে, অশ্রু বিসর্জন দিয়ে যাব।‘

তিনি বলেন, ‘সরকার ইলিয়াস আলীর সন্ধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। জনতার সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ইলিয়াস গুমের রহস্য একদিন উদঘাটন হবেই হবে। আমার ছোট মেয়ে এখন তজবীহ হাতে প্রার্থনা করে- আল্লাহ তুমি আমার বাবাকে ফিরিয়ে দাও।‘

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন বলেন, আমরা বিশ্বাস করি প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী সরকারের গুম নাটকের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়াও সারাদেশে গুম হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৫ শতাধিক নেতা-কর্মী। সবাইকে অক্ষত অবস্থায় যার যার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।

এদিকে ১০ বছর ধরে গুমের শিকার ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবিতে পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সিলেট জেলা বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রবিবার বেলা ১২টায় জেলা বিএনপির উদ্যোগে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান ও বাদ জোহর শাহজালাল দরগাহ মসজিদে দোয়া মাহফিল। একই সাথে জেলার আওতাধীন সকল উপজেলা ও পৌর কমিটির উদ্যোগে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদানের নির্দেশনা দেয় জেলা বিএনপি।

এ ছাড়াও ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় আগামীকাল সোমবার (১৮ এপ্রিল) জেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীর দক্ষিণ সুরমাস্থ কুশিয়ারা কনভেনশন হলে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আমরা ‘নিখোঁজ’ ইলিয়াস আলীকে ‘জীবিত’ ফেরত চাই।

তিনি বলেন, ,আজ ১৭ এপ্রিল ১০ বছরে ধরে একটি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। এতে বোঝা যায় আমরা মানুষকে কতটুকু নিরাপত্তা দিচ্ছি। ওই দিন মধ্যরাতে ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক নিখোঁজ হয় পরে থানায় জিডি করা হয়, কোর্টে মামলা করা হয় এরপর ও সে কেন ফিরে এলো না। এ সরকারের আমলে কেউ নিরাপদ নয়। অবিলম্বে আমরা ইলিয়াস আলীর সন্ধান চাই। রাজনৈতিকভাবে নয়, একটি পরিবারের দিকে তাকিয়ে হলেও তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।‘

ফখরুল বলেন, স্বৈরাচার শাসনে যখন বাংলাদেশ জর্জরিত ছিল, গণতন্ত্র চলে গিয়েছিল। সেই সময়ে যেসব ছাত্রনেতা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইলিয়াস আলী। ইলিয়াস ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সাহসী মানুষ ছিলেন। সত্য কথা বলতেন, সত্য কথা বলতে কোনো দ্বিধা করতেন না। ইলিয়াস আলীর গুম হয়ে যাওয়া, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া কাকতালীয় বিষয় বা তাকে গুম করা শুধু সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল বলে আমরা মনে করি না। আমাদের বুঝতে হবে কী কারণে তিনি নিখোঁজ হলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রাক্ষায় যারা কথা বলে, তাদেরই অত্যন্ত সচেতনভাবে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নিখোঁজ করা হচ্ছে, আটক করে রাখা হচ্ছে। লক্ষ্য করে দেখুন, আমাদের নেত্রী গত তিন বছর ধরে বন্দি অবস্থায় আছেন। কেন? কারণটা কী? মানুষের অধিকার নিয়ে যিনি কথা বলেন, অতীতে যিনি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, আপোষহীন সংগ্রাম করেছেন, যিনি সব সময় স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের কথা বলেন। যিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতার প্রতীক। সেই নেত্রীকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে।

সবক্ষেত্রে ব্যর্থতা আড়াল করতেই সরকার এরকম ‘গুম-হত্যা’ চালিয়ে দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে পুলিশ বলছে, বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে তবে কোনো ক্লু পাওয়া যাচ্ছে না। তদন্ত চলমান রয়েছে।

কেএম/টিটি

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: পিআইডি

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে আজ মোট পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

চুক্তিগুলো হলো- কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।

এর আগে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় নায়েক ও কনস্টেবলদের 'দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স'-এর  উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ১৫তম ব্যাচে ৪২ জন পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে সপ্তাহব্যাপী পদমর্যাদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা  আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম'র সার্বিক নির্দেশনায় ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, কুষ্টিয়ার পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যরা এ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন।

পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান উদ্‌বোধনী ক্লাসে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে পোশাকের মর্যাদা, সৌজন্যতা ও মার্জিত আচরণ, সহকর্মী ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে পেশাগত আচরণ ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রিয়াজুল ইসলাম, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ); চুয়াডাঙ্গা; মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্); চুয়াডাঙ্গা; আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল); চুয়াডাঙ্গা; আবদুল আলীম, আরওআই, রিজার্ভ অফিস, চুয়াডাঙ্গা; আমিনুল ইসলাম, আরআই, পুলিশ লাইন্স, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিনিধিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

আব্দুল লতিফ প্রধান ও শাকিল আকন্দ বুলবুল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে যাচাই-বাছাই শেষে রিটানিং অফিসার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাচাই-বাছাই শেষে যাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আকন্দ বুলবুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মেসবাহ নাহিফুদ দৌলা, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো: আব্দুল মতিন মোল্লা, পাপন মিয়া, মাহাবুর রহমান ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজু। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পাপিয়া রানী দাস, মমতা বেগম, আফরুজা খাতুন, সাকিলা বেগম, ফাতেমা বেগম, উম্মেজাহান, সাথী আক্তার।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে এই উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ৩০ এপ্রিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ২ মে সকল প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।

সর্বশেষ সংবাদ

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ভাড়া বাড়াইনি, শুধু ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছি: রেলমন্ত্রী
নবাবগঞ্জে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, সাবেক ও বতর্মান চেয়ারম্যান জেলহাজতে
ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি
ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে দুঃসংবাদ, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত
'রূপান্তর' বিতর্ক: জোভান-মাহিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা
সাঘাটায় নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন টিটু
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, চরম উত্তেজনা
দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস
পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার
বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের
চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি
দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ